Type the name of a full movie

Get

শখের তোলা কোটি ডলার

টাকা থাকলে যা খুশি তাই করা যায়। আর সেটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারেননি সফটওয়্যার নির্মাতা চার্লস সিমোনি। মাইক্রোসফটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সিমোনি অবকাশ যাপনের জন্য পৃথিবীর বাইরে থেকে ঘুরে আসাটাকেই শ্রেয় মনে করলেন। ছুটি কাটাতে মহাকাশ ভ্রমণে তার ব্যয় ধরা হয় ৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু এ টাকা তার জন্য খুব বেশি কিছু ছিল না। অ্যাডভেঞ্জার ও উত্তেজনাপ্রিয় এই মানুষটি ছুটি কাটাতে মহাকাশ বেছে নিয়েছিলেন এ কারণেই। পৃথিবীর বাইরে দাঁড়িয়ে পৃথিবীকে একনজর দেখা ও তারার মেলা দেখার ইচ্ছা তার রয়েছে। আর সেটা পূরণ করতেই এই মহাকাশ যাত্রার প্রস্তুতি। ভ্রমণের জন্য মহাকাশ যে সহস্র কোটিপতির পছন্দের জায়গা হয়ে উঠছে সেটাই প্রমাণ মিলল এখান থেকে। বিভিন্ন ভ্রমণ কোম্পানি সেই থেকে বিজ্ঞাপন করে এলো মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ নিয়ে। ২০০১ সালে রাশিয়ান নভোচারীদের পর শুধু বেড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক স্পেস টার্মিনালে কেউ যায়নি। চার্লস সিমোনি সেই রেকর্ড ভেঙে দিতে চান। মাইক্রোসফটের ওয়ার্ড ও এক্সেলের দেখভাল করা এই সফটওয়্যার নির্মাতা মহাকাশ ভ্রমণের জন্য সাড়ে পাঁচশ কোটি টাকার চুক্তিতে যাওয়ার পর থেকে একজন দক্ষ নভোচারী হওয়ার জন্য অনুশীলন করেন এবং দ্বিতীয়বারের মতো মহাকাশ থেকে ঘুরে আসেন। এ তো গেল ভ্রমণের জন্য ব্যয়। খরচ করার জন্য শোবার বিছানাও হতে পারে লাখ লাখ ডলারের। বাংলাদেশি টাকায় কোটি টাকারও বেশি। তেমনই একটি বিছানা ‘ম্যাগনেটিক ফ্লোটিং বেড’। এটি মূলত চুম্বকের তৈরি একটি বিছানা। দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটি বাতাসে ভাসছে। ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের এই বিছানাটি চাইলে ডানে বামে ইচ্ছা মতো সরিয়ে নিতে পারবেন। রিমোটের চাপেই এটি জায়গা বদল করতে পারবে। মাটি থেকে দেড় ফুট উঁচুতে এটি দিব্যি ভেসে থাকতে পারবে। জাদুর পাটির মতো এটি ভেসে থাকত বলে এটিকে ভাসমান বিছানা বলেও ডাকা হয়। এই বিছানায় তিনজন অনায়াসে শুয়ে থাকতে পারবেন। কেউ চাইলে এই বিছানায় ভেসে ভেসে সরে আসতে পারবেন কয়েক ফুট দূরত্ব পর্যন্ত। বিলাসিতার এটাই শেষ নয়। অনেকে শখের বশে সংগ্রহ করেন পাখির পালক। তেমনই একটি পাখির পালক হুয়া পাখির। এই পাখির একটি মাত্র পালকের দাম ১০ হাজার মার্কিন ডলারেরও বেশি। বিলুপ্তপ্রায় এই পাখির পালক খুবই দুর্লভ। এই পাখির পালক দিয়ে প্রাচীনকালে রাজারা রাজকীয় দলিল স্বাক্ষরের কাজ করে থাকতেন।