ভারতের সেরা ধনী তিনি। নাম মুকেশ আম্বানি। এশিয়ার সেরা ধনী ব্যক্তি তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ির একটি। অতিকায় এ বাসভবনটিকে মুকেশ প্রাসাদ বলা যায়। বাড়িটির নাম আন্তিলা। ‘আন্তিলা’ ভবনটি মোট চার লাখ বর্গফুট জায়গা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকায়। আম্বানি পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছয়। এ ছয়জন সদস্যের জন্য গোটা বাড়ি বানানো হয়েছে। আন্তিলায় ফ্লোর সংখ্যা ২৭। ২০০২ সালে মুকেশ আম্বানি মুম্বাই নগরীতে ৪৯ হাজার বর্গফুট জায়গা কিনে নেন। সাত বছরের নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হয়েছে ১০০ কোটি ডলার। বাড়িটির উচ্চতা ১৭৩.১২ মিটার, যা একটি সাধারণ ৬০ তলা দালানের উচ্চতার সমান। প্রথম ৬ তলা নির্ধারণ করা হয়েছে কার পার্কিং স্পেস হিসেবে। আমদানি করা ১৬৮টি লাক্সারি গাড়ি ব্যবহার হয় শুধু পরিবারের প্রয়োজনে। সপ্তম তলা রাখা হয়েছে গাড়ির সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওয়ার্কশপ হিসেবে। অষ্টম তলায় রয়েছে একটি বিশাল বিনোদন কেন্দ্র, এখানে নির্মাণ করা হয়েছে ৫০ জনের আসনক্ষমতা নিয়ে একটি মিনি থিয়েটার। নবম তলা রিফিউজ ফ্লোর, জরুরি প্রয়োজনে উদ্ধার কাজের জন্য এটি ব্যবহার হবে। তার উপরের দুটি ফ্লোর স্বাস্থ্যকেন্দ্র। একটিতে রয়েছে সুইমিং পুলসহ খেলাধুলার সব সরঞ্জাম। অপরটিতে নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক সব উপকরণ নিয়ে তৈরি সুবিশাল হেলথ জিম। তিনটি ফ্লোরজুড়ে রয়েছে নয়নাভিরাম ঝুলন্ত বাগান। নানা জাতের গাছ ও ফুলে শোভিত হয়েছে এই সুবিশাল বাগান। দুটি ফ্লোর রাখা হয়েছে আম্বানি পরিবারের আত্মীয়স্বজন তথা অতিথিশালা হিসেবে। বাড়ির উপরের দিকে চারটি ফ্লোর, যেখান থেকে আরব সাগর ও আকাশের মিলনরেখার অবারিত সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়, নির্ধারিত হয়েছে মুকেশ, তার স্ত্রী নিতা, তিন সন্তান এবং মুকেশের মা কোকিয়াবেনের জন্য। বাড়ির শীর্ষে দুটি ফ্লোরের মধ্যে একটি পরিবারের সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এবং তার পরেরটি হ্যালিপেডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হিসেবে ব্যবহার হবে। বাড়ির শীর্ষে নির্মাণ করা হয়েছে তিনটি হ্যালিপেড। ২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গৃহপ্রবেশ’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাড়িটিতে বসবাস করা শুরু করেছে মুকেশ আম্বানি পরিবার। এই বাড়ি ও বাড়ির মানুষজনের দেখাশোনার জন্য রয়েছে ৬০০ কর্মী।
গাড়ি :
বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ি বাজারে আনল ল্যাম্বরগিনি। ভেনেনো রোডস্টার নামের এ গাড়ি ঘণ্টায় ২২১ মাইল গতিতে ছুটতে পারে আর এর দাম ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার। মাত্র তিন সেকেন্ডে ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে ভেনেনো রোডস্টার গাড়িটি।
শাড়ি :
পৃথিবীর সবচেয়ে দামি শাড়ি চেন্নাই সিল্কের তৈরি। এই শাড়িকে ২০০৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দামি শাড়ির স্বীকৃতি দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। সোনা, হীরা, প্লাটিনাম, রুপা কী নেই এতে। এর দাম ৩৯ লাখ ৩১ হাজার ৬২৭ রুপি! অর্থাৎ, প্রায় ৫৭ লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ টাকা।