Type the name of a full movie

Get

এক গ্লাস বাতাস ৬০ হাজার টাকা


পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকগুলো নিয়ে প্রতিনিয়ত আলোচনা হয় বিশ্বব্যাপী। তবু প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। সম্প্রতি চীন পড়েছে তেমনই এক পরিবেশ বিপর্যয়ে। যে কারণে বাতাস হয়ে উঠেছে বিষাক্ত। আর এই ফাঁকেই একদল ব্যবসায়ী খুলে বসেছেন বাতাস বিক্রির ব্যবসা। সম্প্রতি কানাডার একটি কোম্পানি রকি পাহাড়ের বাতাস বোতলে ভর্তি করে রপ্তানি করেছে চীনে। বাজার কিন্তু মন্দ নয়। মাত্র চার দিনের মধ্যে বাতাসভর্তি সব বোতল বিক্রি হয়ে যায় চীনের বাজারে। চীনের বেইজিং শহরের বাতাসের এ করুণ দশা সামলাতে বাতাস কেনা ছাড়া কীইবা করার আছে! চীনের বাজারে কানাডার রকি পাহাড়ের বাতাস প্রতি বোতল বিক্রি হয় প্রায় দশ ডলারে। দেশটির বাজারে এক বোতল পানির তুলনায় এই এক বোতল বাতাসের দাম প্রায় পঞ্চাশ গুণ বেশি। এ বোতলজাত বাতাসের অধিকাংশ ক্রেতাই হলো চীনের বড় শহরগুলোর বাসিন্দা। কানাডাই যে এই প্রথম চীনের বাজারে বোতলজাত বাতাস বিক্রি করেছে তা কিন্তু নয়। এর আগে বেইজিংভিত্তিক শিল্পী লিয়াং কেগ্যাঙ্গ এক গ্লাস বাতাস বিক্রি করেছিলেন ৫১২ পাউন্ডে। আর ওই বাতাস তিনি ভর্তি করে এনেছিলেন দক্ষিণ ফ্রান্স থেকে একটি ব্যবসায়িক কাজে যাওয়ার সময়। তবে কানাডার এই ব্যবসা থেকে পিছিয়ে নেই যুক্তরাজ্য। সেখানকার এক ব্যবসায়ী বিশুদ্ধ বাতাস’ বিক্রি করে অল্প দিনেই কামিয়েছেন হাজার হাজার পাউন্ড। তার এই বাতাসের ক্রেতা চীনের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। লিও ডি ওয়াটস (২৭) নামের ওই ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের সমারসেটওয়েলস ও ডরসেটের গ্রামীণ এলাকা থেকে বাতাস সংগ্রহ করেন। প্রতিটি এলাকার বাতাস গুণমানে আলাদা। এরপর তা বোতলে ভরে তিনি পাঠিয়ে দেন চীনের সাংহাই ও বেইজিংয়ের মতো দূষিত শহরগুলোতে। প্রতি বোতল বাতাস বিক্রি হয় ৮০ পাউন্ড করেবাংলাদেশি টাকায় যা ৯ হাজারের বেশি।