চাঁদে জমি বিক্রির ঘটনা মোটেই নতুন নয়। এরই মধ্যে দেদার যে যার মতো করে চাঁদে জমি বিক্রি করে চলেছেন। আমেরিকান সংবাদপত্র ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ বলছে, গার্ডনারভিলের ব্যবসায়ী ডেনিস হোপ ইতিমধ্যে চাঁদ, মঙ্গল এবং সৌরজগতের অন্য কয়েকটি গ্রহের মিলিয়ন মিলিয়ন একর জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি সেই ১৯৬৮ সাল থেকে চাঁদের জায়গা বিক্রি করে আসছেন। চাঁদে ১ একর জমির মূল্য পড়ছে মাত্র ১৯.৯৯ ডলার আর মঙ্গলের ক্ষেত্রে সেটা ২২.৪৯ ডলার। সঙ্গে অবশ্য ট্যাক্স, শিপিং, হ্যান্ডলিং খরচও আছে। হোপ দাবি করছেন, তার প্রতিষ্ঠান ‘লুনার অ্যাম্বাসি করপোরেশন’-এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে তিনি চাঁদের ৭.৫ অংশ বিক্রি করে দিয়েছেন। চাঁদের পর মানুষের নজরে পড়েছে সূর্য। এক স্প্যানিশ মহিলা ই-কমার্স সাইটে সূর্যে জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে হতম্ভব করে দিয়েছেন। স্পেনের অধিবাসী ৫৪ বছর বয়সী মারিয়া। ২০১০ সাল থেকেই তিনি দাবি করে আসছেন সূর্যের একটি নির্দিষ্ট জায়গা নাকি তার। সম্প্রতি ইবে নামক এক ই-কমার্স সাইটে তিনি সূর্যের সেই জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। তার চেয়ে কম যায়নি মহাকাশ গবেষণায় বৃত্তিদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘উইংগুর। তারা মঙ্গল গ্রহে প্লট বিক্রি করছে। ‘উইংগু তাদের ওয়েবসাইটে মঙ্গল গ্রহে জমি কেনার সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করে রেখেছে। মঙ্গলে মহাশূন্য থেকে যে বৃত্তাকার খাদগুলো দেখা যায়, সেগুলোই শুধু আপনি কিনতে পারেন। এ জন্য গুনতে হবে মাত্র ৫ মার্কিন ডলার। মূল্য পরিশোধের পর প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রমাণাদির কাগজপত্র আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।